এবার ‘রিমেম্বারিং আওয়ার হিরোজ’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হল মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের সঙ্গে যোগ দেন কবি, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুর ১২টায় নগরীর টাউন হল মোড়ে সরেজমিনে এই চিত্র দেখা গেছে। এর আগে বেলা পৌনে ১১টা থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দলে দলে এসে টাউন হল মোড়ে অবস্থান নেন। এই অবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক আশিকুর রহমান আশিক, আরিফুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল নাকিব প্রমুখ।
এদিকে অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্রনেতারা বলেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার শহীদ ভাইদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত এবং ৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। দাবি আদায়ে আরও ছাত্র শহীদ হতে হলে আমরা প্রস্তুত আছি।
এ সময় অবস্থান কর্মসূচির শৃঙ্খলা ধরে রাখতে ছাত্রনেতারা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কারও উসকানিতে পা দেবেন না। কারও ব্যানার-ফেস্টুন নষ্ট করবেন না। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে চাই এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।
অবস্থান কর্মসূচিতে পর্যায়ক্রমে বক্তৃতা, কবিতা আবৃত্তি, বিদ্রোহী সংগীত পরিবেশের পাশাপাশি দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এদিকে অবস্থান কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে আন্দোলনের সমন্বয়ক আশিকুর রহমান বলেন, ৭১’র ছাত্র-জনতার রক্ত বৃথা যায়নি। এবার আমাদের রক্তও বৃথা যাবে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রক্ত দিতে প্রস্তুত।
এ সময় ময়মনসিংহ নগরীর ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সম্প্রতি কোটা আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শিক্ষার্থী রেদোয়ান হোসেন সাগরের নামে শহীদ সাগর চত্বর ঘোষণার দাবি জানান আন্দোলনের সমন্বয়ক আশিকুর রহমান। আন্দোলন চলাকালে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে তাদের অবস্থান ছিল আন্দোলনের স্থান থেকে কিছুটা দূরত্বে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে নগরীর কাচিঝুলি, জিলা স্কুল ও কাছারি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে ভোগান্তি সৃষ্টি হতে দেখা গেছে।